সিবিএন ডেস্ক:

কক্সবাজারের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া পূর্ব সূর্যের হাসির গলিতে শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিন নাবালক রোজাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হোসেন (৪২), যিনি মোঃ শাহ আলমের পুত্র এবং এলাকায় ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিন-চারজন শিশু প্রতিদিনের মতো ফুটবল খেলার মাঠে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গলির ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। তারা দেখতে পায়, এক ব্যক্তি লাঠি জাতীয় কিছু হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো কিছু না বুঝেই শিশুরা স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে থাকলে ওই ব্যক্তি হঠাৎ এক বালকের কলার চেপে ধরে তার দুই গালে চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন। তিনি শিশুটিকে প্রশ্ন করেন, “পটকা কেন ফুটিয়েছ?” শিশুটি বারবার অস্বীকার করলেও লোকটি তার উপর মারধর চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে শিশুটিকে মাটিতে ফেলে কোমর, পা ও পিঠে লাথি মারতে থাকেন।

এ সময় আশপাশে থাকা অন্য শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তি আরেকজন বালককে লাঠি বা পাইপ দিয়ে আঘাত করেন, যার ফলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর তাকেও ঘুষি ও লাথি মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তৃতীয় এক শিশুকে বুকের কাছে নখ দিয়ে আঁচড় দেওয়া হয় এবং বাম গালে কান সংলগ্ন স্থানে চড় মারা হয়।

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, মূলত অন্য কেউ পটকা ফুটিয়ে চলে গেলেও হোসেন যাচাই-বাছাই না করেই নিরপরাধ তিন রোজাদার শিশুর ওপর নির্মম নির্যাতন চালান। আহত শিশুরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় এবং পরে বাড়ি ফিরে যায়।

এলাকায় সামাজিক বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার না করে দাবি করেন, তিনি ঘুম থেকে উঠে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন এবং তার ওপর ‘জিন সওয়ার’ হয়েছিল। স্থানীয়রা আরও জানান, এটি তার প্রথম ঘটনা নয়, আগের দিনও তিনি কয়েকজন শিশুকে মারধর করেছেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।